কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সীতাকুণ্ডে ১০ হাজার সিলিন্ডার জব্দ, তিন মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৯

চট্টগ্রামে টানা ২ দিনের অভিযানে অবৈধভাবে এলপিজি সিলিন্ডার কাটার তিন জন মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। এসময় প্রায় ১০ হাজার সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত তিন মূলহোতা হলেন- মৃত হাজী শফিউর রহমানের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে কুসুম (৫১), মৃত ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মো. মহসীন (৫১) ও মৃত ছিদ্দিক আহম্মেদের ছেলে মো. নুরন নবী (৪৮)। বাকিদের নাম-পরিচয় জানায়নি র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, গত ৪ জুন বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ডের তুলাতলীর জনবহুল গ্রামে অবৈধ চোরাই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ করে। এসব গ্যাস সিলিন্ডার কেটে টুকরো করে বিভিন্ন রি-রোলিং মিলে বিক্রি করে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই সিন্ডিকেটের তিন মূলহোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা কুসুমের ডিপো, ফকিরা মসজিদের উত্তর পাশের এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার (যার মধ্যে ২ হাজার কাটা সিলিন্ডিার) ও ২টি ট্রাক জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘একটি খালি সিলিন্ডারের মূল্য ২ হাজার ৮’শ টাকা। এলপিজির বিধান এর ৯১ ধারা মোতাবেক সিলিন্ডারের আকার আকৃতি পরিবর্তন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সিলিন্ডার সমূহের মালিকানা কোম্পানির কাছে থাকে, যা ডিলার বা গ্রাহক একই সিলিন্ডারে বারবার এলপিজি রিফিল করে নেয়।’

তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরক পরিদপ্তরের ছাড়পত্রের মাধ্যমে প্রথমে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ১০ বছর ব্যবহারের পর পুনরায় পরীক্ষা করে ব্যবহারের উপযোগী হলে আরো ৫ বছর ব্যবহারের পর বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সদস্যদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এলপিজি সিলিন্ডার ধ্বংস করার কথা। গ্যাস সিলিন্ডার বাইরে কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। কিন্তু আসামিরা কোনো প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত লাভ করার জন্য চোরাইভাবে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ করে সেগুলো কেটে বিভিন্ন রি-রোলিং মিলে সরবরাহ করে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয়রা জানান, এই চক্রের সদস্যদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। পরিবেশ দূষণ ও এলাকাবাসী অত্যন্ত দুর্ঘটনার ঝুকিতে থাকলেও উক্ত সিন্ডিকেটের লোকদের ভয়ে তারা কোথাও অভিযোগ করত না। গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

পাঠকের মতামত: